প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ব বিভাগে লাইব্রেরি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ব বিভাগে লাইব্রেরি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, স্নাতক (সম্মান) প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের জন্য লাইব্রেরি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, গ্রন্থাগারের ভেতর লুকিয়ে আছে জ্ঞানের অফুরন্ত ভাণ্ডার, মানবসভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজচিন্তার নীরব সাক্ষী। তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটি হলো উচ্চতর জ্ঞানের সাধনার স্থান, আর গ্রন্থাগার হলো সেই জ্ঞানের প্রধান উৎস ও কেন্দ্র। একজন শিক্ষার্থীর পঠন-পাঠন, বিশ্লেষণ, গবেষণা ও চিন্তাশীলতা বিকাশের জন্য গ্রন্থাগার অপরিহার্য।
লাইব্রেরির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটির গ্রন্থাগারিক মোহাম্মদ কাউসার আলম। তিনি বলেন, বর্তমান যুগ ওয়েব এবং সার্চ ইঞ্জিনের যুগ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ডিজিটাইজেশন, ডিজিটাল প্রিজারভেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার, রিমোট অ্যাকসেসের মাধ্যমে রিয়েল টাইম ইনফরমেশন সরবরাহের ভিত্তিতে লাইব্রেরি একটি লাইফ লং লার্নিং সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। মানবজ্ঞানকে সহজলভ্য করতে ডিজিটাল লাইব্রেরি এনে দিয়েছে অপার সুযোগ। তিনি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কর্তৃক সাবস্ক্রাইবকৃত বিভিন্ন ই-রিসোর্সের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। তাছাড়া লাইব্রেরি ক্যাটালগ, ইনস্টিটিউশনাল রিপোজিটরি এবং পৃথিবীর বিখ্যাত ই-রিসোর্স ডাটাবেস থেকে কীভাবে জার্নাল, আর্টিকেল এবং ই-বুক সার্চ করে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে হয় তা দেখিয়ে দেন। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে তিনি ছাত্র–ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ডিজিটাল পাঠপদ্ধতি ও জ্ঞান অন্বেষণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-গ্রন্থাগারিক মোহাম্মদ আলী, উপস্থিত ছিলেন জিইসি ক্যাম্পাস লাইব্রেরির সহকারী কর্মকর্তা গাজী আহসান আলী, নোমান কাদের চৌধুরী প্রমুখ।